মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে ১৮ ফেব্রুয়ারি কিশোরীর মা কুলাউড়া থানায় মামলা করেছেন। এসে আসামি করা হয়েছে প্রতিবেশী এক তরুণকে।
শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
পুলিশ ও পরিবার থেকে জানা গেছে, ১৩ বছর বয়সী কিশোরীটি তার নানার বাড়িতে বাস করত। ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির বাইরে গেলে প্রতিবেশি ১৯ বছর বয়সী তরুণ তাকে কলা কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে পরিত্যাক্ত একটি ভবনের কাছে নিয়ে ধর্ষণ করে। কিশোরী বিষয়টি কাউকে বলতে পারেনি। পরে তার শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তিন দিন পর তার মা গিয়ে জানতে পারেন সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি কিশোরীর মা বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে বিচার দাবি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার রাতে এলাকায় অভিযান চালায়। তবে অভিযুক্ত তরুণকে পায়নি বলে জানায়।
এ বিষয়ে মেয়েটির মা নিউজবাংলাকে জানান, শারীরিক সমস্যা জানার পর তিনি তার মায়ের (কিশোরীর নানি) বাড়ি গিয়ে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জানতে পারেন তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এলাকার মুরব্বিদের কাছে বিচার চেয়েও পাননি। পরে মামলা করেছেন ওই তরুণের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার থাকায় কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিতে পারেননি বলে জানান তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান নিউজবাংলাকে জানান, মেয়েটির পরিবার প্রথমে সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছে। পুলিশ জানার পর তার মাকে মামলার জন্য বললে মামলা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মেয়েটিকে ভর্তির ব্যাপারে পরিবারকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে, তবে শুক্রবার থাকায় তারা নিয়ে যাননি।’
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, আসামি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নির্যাতনের শিকার শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার জেলা সদরের হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।’